ডিজাস্টার ডিজাস্টার। "আকাশে তে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটা রে"-এই ধামাকা গানের সাথে পপিকে দেখতেই অভ্যস্ত ছিল দর্শকরা। পপির অ্যানার্জেটিক পারফরম্যান্স চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কি দুর্দান্ত নেচেছিলেন পপি।পুরনো মদ নতুন বোতলে ঢালার মত সেই গান দেখে পপির তুলনায় তাসনিয়া ফারিণকে আমার কাছে একটা রোবটই মনে হয়েছে। তার ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন ছিল নির্লিপ্ত। সচরাচর এই ধরনের চটুল গানে নায়িকার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ মুল ফ্যাক্টর থাকে। নায়িকার আকর্ষণীয় দেহসৌষ্ঠব মাতোয়ারা করবে দর্শকদের এবং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইদানিং সব উল্টোপাল্টা হচ্ছে। তাসনিয়া ফারিণ নাচতে জানেন না। অফ শোল্ডার কস্টিউম পরে দু'চারটে মোচড় দিয়ে নাচের ভঙ্গি করলে তা নাচ হয়ে যায়না।
পপির লিপসিং করা গানের প্লেব্যাক করেছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন। তার কণ্ঠের "ইয়া....ইয়া" এর মধ্যে সুরের দারুন ঝংকার ছিল। আমরা দেখেছি সে সময় রিজিয়া পারভীনের প্রতি শ্রোতাদের রেসপন্সও ছিল তুমুল। এইগানের রি-ফার্নিশে এবার দেখা গেছে গায়িকা মিলাকে। রিজিয়া পারভীন এবং মিলার কণ্ঠের তুলনা করলে বলা যায় রিজিয়ার কণ্ঠ ছিল মোস্ট পাওয়ারফুল। মিলার কণ্ঠে "ইয়া.....ইয়া" পোর্শনটুকু জমেনি। আইটেম গানের সঙ্গে নায়িকা হতে হবে সোনায় সোহাগা। তাসনিয়া ফারিণের আকর্ষণীয় দেহবল্লরী নেই। তার ফিগার অ্যাভারেজ। তার কস্টিউম ভালো হয়নি। প্যান্টের ডিজাইন দেখে হাস্যকর মনে হয়েছে। আইটেম গানের নায়িকার আপাদমস্তক দর্শক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। ফারিণের নাচের মুদ্রা ছিল বেখাপ্পা আর অপরিপক্ক।
0 Comments